খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

আগামী মার্চ থেকে পাইপলাইনে তেল আসবে ঢাকায়, সাশ্রয় হবে ২৩৬ কোটি টাকা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:১০ অপরাহ্ণ
আগামী মার্চ থেকে পাইপলাইনে তেল আসবে ঢাকায়, সাশ্রয় হবে ২৩৬ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, দ্য ওয়ার্ল্ড টাইমস বিডি: ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে ২৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের কাজ। সব ঠিক থাকলে আগামী মার্চেই এ লাইন দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসবে জ্বালানি তেল। এতে সাশ্রয় হবে প্রায় ২৩৬ কোটি টাকা। আর এর মাধ্যমে জ্বালানি পরিবহনে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করবে লাল-সবুজের বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কর্মকর্তারা জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে একদিকে যেমন জ্বালানি তেল পরিবহন খরচ কমবে, অপরদিকে নির্বিঘ্ন হবে সরবরাহব্যবস্থাও। একইসঙ্গে পরিবেশদূষণও রোধ করা সম্ভব হবে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে নদী ও সড়কপথে ঢাকায় জ্বালানি তেল পরিবহন করা হয়। তবে নানা কারণে মাঝেমধ্যেই এ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া নদী ও সড়কপথে তেল পরিবহনের কারণে খরচ যেমন বেশি পড়ে তেমনি ওঠে তেল চুরির অভিযোগও। একই সঙ্গে শুষ্ক মৌসুমে নৌপথে নাব্যতা কমে যাওয়ায় তেল পরিবহন করাও কঠিন হয়ে পড়ে।

এসব সংকট নিরসনে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ‘চট্টগ্রাম হতে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন’ নামে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। এরপর প্রথম দফায় ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ আবার বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ হয়।

শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৮৬১ কোটি ৩১ লাখ টাকা। পরে সংশোধিত হয়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকায়। এটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।

বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে জ্বালানি তেলের গড় চাহিদা ৬৫ লাখ টন হলেও গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরবরাহ করা হয় ৬৭ লাখ টন। যার মধ্যে ৭৫ শতাংশই ডিজেল।

শুধু ঢাকা বিভাগেই জ্বালানি তেলের ব্যবহার মোট চাহিদার ৪০ শতাংশ জানিয়ে বিপিসি আরও জানায়, বর্তমানে ঢাকায় তেল পরিবহনের জন্য প্রথমে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে নদীপথে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ও ফতুল্লা ডিপোতে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সড়কপথে ঢাকায় তেল পরিবহন করা হয়। আর পরিবহন কাজে প্রতি মাসে প্রায় ১৫০টি ছোট-বড় জাহাজ ব্যবহৃত হয়। এতে বছরে খরচ হয় ২০০ কোটি টাকা।

এ অবস্থায় পাইপে তেল পরিবহন শুরু হলে প্রতিবছর প্রকল্প থেকে আয় হবে ৩২৬ কোটি টাকা এবং পরিচালন, রক্ষণাবেক্ষণ, জ্বালানি, বিদ্যুৎ বিল, জমির ভাড়াসহ আরও কিছু খাতে ব্যয় হবে ৯০ কোটি টাকা। এতে প্রতিবছর সাশ্রয় হবে ২৩৬ কোটি টাকা।

এ থেকে ধারণা করা যায়, আগামী ১৬ বছরের মধ্যেই প্রকল্পের বিনিয়োগ উঠে আসবে।

এ বিষয়ে কথা হয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) মনোনীত প্রকল্প পরিচালক মো. আমিনুল হকের সঙ্গে।

তিনি বলেন, ডিসেম্বরেই প্রকল্পের নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে। এরপর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম (কমিশনিং) শেষে পুরোদমে শুরু হবে জ্বালানি তেল পরিবহনের কাজ।

কবে নাগাদ কমিশনিং শুরু হবে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক (অপারেশন ও পরিচালন) অনুপম বড়ুয়া বলেন, সব ঠিক থাকলে জানুয়ারিতেই প্রকল্পের কমিশনিং হবে। এরপর জনবল নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে। সবশেষে মার্চে শুরু হবে জ্বালানি তেল পরিবহন।

দ্য ওয়ার্ল্ড টাইমস বিডি

গত রমজানের তুলনায় খাদ্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে: প্রেস সচিব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫, ১:১৮ পূর্বাহ্ণ
   
গত রমজানের তুলনায় খাদ্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে: প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক, দ্য ওয়ার্ল্ড টাইমস বিডি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, এবারের রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম গত রমজানের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। সরকার রমজানের পুরো মাস নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। জিনিসপত্রের দাম যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে সে দিকে সরকারের প্রধান ফোকাস থাকবে।

শনিবার (১ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

প্রেস সচিব বলেন, সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে সরকার প্রধান নির্দেশ দিয়েছেন। খাবার তেলের সরবরাহ তদারকি করা হচ্ছে। জিনিসপত্রের সরবরাহ বাড়াতে কাজ অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, সাপ্লাই পরিস্থিতি সামনে আরও ভালো হবে। নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় থাকবে।

প্রেস সচিব আরও জানান, সরকার সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে বদ্ধপরিকর। সরকার ইতোমধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিয়েছে। বিএনপি হয়তো সুনির্দিষ্ট একটি তারিখ চাচ্ছে। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ শিগগির শুরু হবে। সেখানে নির্বাচনের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

দ্য ওয়ার্ল্ড টাইমস বিডি

পবিত্র রমজানে হিংসা-বিদ্বেষ-সংঘাত পরিহারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫, ১:১৩ পূর্বাহ্ণ
   
পবিত্র রমজানে হিংসা-বিদ্বেষ-সংঘাত পরিহারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক, দ্য ওয়ার্ল্ড টাইমস বিডি: যাবতীয় হিংসা-বিদ্বেষ ও সংঘাত পরিহার করে সবাইকে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (১ মার্চ) পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সিয়াম সাধনা ও সংযমের মাস মাহে রমজান আজ আমাদের মাঝে সমাগত। পবিত্র এ মাসে আত্মসংযমের মাধ্যমে আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটে, সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি, নৈকট্য লাভ ও ক্ষমা লাভের অপূর্ব সুযোগ হয়। সিয়াম ধনী-গরিব সবার মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালন করে।

তিনি বলেন, আসুন, পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাবতীয় ভোগ-বিলাস, হিংসা-বিদ্বেষ ও সংঘাত পরিহার করি এবং জীবনের সর্বস্তরের পরিমিতিবোধ, ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করি। সিয়াম পালনের পাশাপাশি বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করি এবং ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকি।

ড. ইউনূস আরও বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের জাতীয় জীবনে পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষা কার্যকর করার তাওফিক দান করুন। মাহে রমজান আমাদের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল শান্তি। মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের সকলকে ক্ষমা ও হেফাজত করুন, আমিন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল রোববার (২ মার্চ) পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। আজ এশার নামাজের সঙ্গে তারাবির নামাজ পড়বেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ভোরে রোজা রাখার উদ্দেশে সেহরি খাবেন তারা।

দ্য ওয়ার্ল্ড টাইমস বিডি

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড: সাবেক বিচারপতি মানিককে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫, ১:০৬ পূর্বাহ্ণ
   
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড: সাবেক বিচারপতি মানিককে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, দ্য ওয়ার্ল্ড টাইমস বিডি: সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহাইলকে তদন্তের স্বার্থে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

শনিবার (১ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গঠিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা যে তথ্য দিয়েছেন তা যাচাই করা হচ্ছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিজুল হক গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে আবেদন করেন।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। এরপর জেলগেটে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে আজ শনিবার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিজুল হক নিশ্চিত করেছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিজুল হক বলেন, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও মোহাম্মদ সোহাইলকে সাক্ষী হিসেবে সাগর-রুনি হত্যা মামলায় জিজ্ঞেসাবাদে আবেদন করি। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদ তারা যে তথ্য দিয়েছেন তা যাচাই করা হচ্ছে। এ ছাড়া মামলায় হাজতী আসামি এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবীরকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি যে তথ্য দিয়েছেন তা যাচাই করা হচ্ছে।

মামলার বাদী রুনির ভাই নওশের আলম বলেন, আমি ন্যায় বিচার চাই। এপ্রিল মাসে টাস্কফোর্স যে প্রতিবেদন দিবেন তা যেন সুষ্ঠুভাবে দেওয়া হয় এই প্রত্যাশা আমার।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ করেন, শামসুদ্দিন মানিককে (৭৪) বাড্ডা থানার একটি হত্যা মামলায় গত ৩০ অক্টোবর পুনঃ গ্রেফতার দেখানো হয়। বর্তমানে তিনি জেলহাজতে আছেন। তাকে সাগর-রুনি হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে অত্র হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এ ছাড়া মো. সোহাইল পল্টন থানার একটি হত্যা মামলায় গত ২১ আগস্টে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেলহাজতে আছেন। তিনি মামলার তদন্ত কার্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। তদন্তাধীন সময় সোহাইল র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র‌্যাব) পরিচালক (লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অত্র হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি তাদের শেরেবাংলা নগর থানাধীন পশ্চিম রাজাবাজারস্থ ফ্ল্যাটে নৃশংসভাবে খুন হয়। এটি বহুল আলোচিত সাগর-রুনি হত্যা মামলা। মামলাটি হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক টাস্কফোর্স গঠনপূর্বক বর্তমানে পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের নিকট তদন্তাধীন আছে। উল্লিখিত ব্যক্তিদের টাস্কফোর্স কর্তৃক অত্র মামলা সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা বিশেষ প্রয়োজন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব র‌্যাব থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গঠিত একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সকে তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। বহুল আলোচিত সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত চেয়ে আনা রিটের আদেশ মডিফিকেশন চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে এ আদেশ দেয় উচ্চ আদালত।

বিষয়টি নিয়ে শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, আশা করি এবার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে এবং তদন্তের জন্য দেওয়া এবারের ছয় মাস মানে ছয় মাস। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৬ এপ্রিল দিন ধার্য রয়েছে হাইকোর্টে।

সাগর-রুনি হত্যা মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে র‌্যাব পায় তদন্তের দায়িত্ব।

এই হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। ঘটনার দুই মাস পরেও মামলার তদন্তে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় তিনি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন। ইতোমধ্যে একযুগ পার হলেও মামলার তদন্তে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি তদন্তকারী কর্মকর্তা। সর্বশেষ গত ২৭ জানুয়ারি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুর রহমান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২ মার্চ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন। এ পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে ১১৫ বার সময় নেওয়া হয়েছে।

দ্য ওয়ার্ল্ড টাইমস বিডি